আদের্শর বিচ্যূতি

১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বাংলার ইতিহাসে এক কালো রাত, এক কালো  অধ্যায়।রশিদ,ফারুকদের এক ঘৃণ্য চক্রান্তে ৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে ৭১ এর নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেকে সপরিবারে হত্যা করে। বিদেশে থাকার কারনে তাঁর কন্যাদ্বয় জীবনে বেঁচে গিয়েছে। এ যেন বাংলার আকাশ থেকে এক নক্ষত্রের পতন কিন্তু বাংলার ইতিহাসে এখনো সে চির উজ্জল আদর্শ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ  গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এই মহান নেতা ছাত্র অবস্থাতেই হয়ে ওঠেন গণমানুষের নেতা। তিনি ছিলেন সৎ সাহসী এবং কঠোর পরিশ্রমী একজন নেতা। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন তার আদর্শে উজ্জীবিত হয়। কিন্তু ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের বয়স যখন মাত্র তিন বছর তখন ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কতিপয় সেনা অফিসার ও সৈনিকদের এক অভ্যুত্থানে সপরিবারে নিহত হন।১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট শুধু  শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেনি ঘাতকরা, তাঁর আদর্শকেও   হত্যা করেছিল। তা না হলে আমরা কেন মঞ্চে দাঁড়িয়ে মানুষকে মুজিব আদর্শের রাজনীতি বা  সমাজ সেবা করতে বলব? এর কারণ হলো মানুষ ভুলে গেছে মুজিবীয় আদর্শ। মুজিবীয় আদর্শের যারা  চর্চা করবেন তারাই আজ দুর্নীতির চর্চা করে। তাহলে সাধারণ মানুষ  কার আদর্শের রাজনীতি করবে?  ৭৫ এ মোশতাক, ফারুক, রশীদরা মুজিবকে হত্যা করতে পেরেছিল ঠিকই কিন্তু তারা নিত্য দিনের পরিহিত কোট আর  ব্যবহৃত চশমাকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি। বর্তমান সময়ে তাঁর  প্রতিষ্ঠিত দল  গুলোতে তাঁর কোট ও চশমার ব্যবহার কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ছরাছড়ি।  আদর্শের প্রতীক হিসেবে নয়, তা শুধু তাঁর অনুসারী   প্রমাণ করার জন্য। মুজিব কোট আর মোটা কালো ফ্রেমের চশমা পরা নেতারা পয়সা থেকে শুরু করে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাহলে তাদের মুজিবীয় আদর্শ কোথায়? শুধু অশিক্ষিত নয় শিক্ষিত সমাজকে দেখেছি মঞ্চে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিবকে বিক্রি করতে   আদর্শের চরাদামে।  কিন্তু পরে দেখলাম তিনিও কোন জাতীয় দৈনিকের প্রথম পাতায় প্রমানসহ কোন এক দুর্নীতির দায়ে ধরা পড়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত ব্যক্তিরাই আজ বড় বড় চোর।  তাহলে মুক্তিযুদ্ধের ঐক্য আর মুজিবীয় আদর্শ আজ কোথায়?    

Comments